পাকিস্তানে শাহবাজ শরিফ সরকারের সামনে একের পর এক দাবি রেখে ক্রমেই সরব হচ্ছেন সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিচারাধীন রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি গত ৯ মে, ২৬ নভেম্বরের ঘটনার তদন্তে বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন সহ একাধিক দাবি তিনি সামনে রেখেছেন। পাশাপাশি, ইমরান খানের হুঙ্কার, ২২ ডিসেম্বর অর্থাৎ রবিবারের মধ্যে শাহবাজ সরকারের সামনে রাখা দাবি বাস্তবায়িত না হলে, দেশে প্রথম দফার আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হবে। এদিকে, এরই মাঝে শনিবার পাকিস্তানের সেনা কোর্ট ইমরান-পন্থী আন্দোলনের ঘটনায় ২৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
ইমরান সেট করে দিলেন ডেডলাইন!
রবিবার কি রাজনৈতিক উত্তেজনা ফের দেখবে পাকিস্তান? এই প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে ইমরান খানের সদ্য পোস্ট করা সোশ্যাল মিডিয়ার বার্তা। ইতিমধ্যেই বিচারাধীন রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি সহ একাধিক দাবি তিনি সামনে রেখেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন,' রবিবারের মধ্যে এই দাবিগুলি মানা না হলে, আই অমান্য আন্দোলনের প্রথম ধাপ শুরু হবে।' তিনি প্রবাসী পাকিস্তানিদের প্রতি বার্তা দিয়ে, বলেন, ‘ভিনদেশে থাকা পাকিস্তানিদের কাছে আমরা আপিল করব, পাকিস্তানের অবস্থা আপনাদের কাছে স্পষ্ট, গণতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থা, মিডিয়ার দম বন্ধ করে রাখা হয়েছে। একটা অত্যাচার আর ফ্যাসিজম চলছে।’
( Ram Mandir: ‘রামমন্দিরে শিবসেনা, কংগ্রেসেরও অবদান’ রয়েছে! ভাগবতের বক্তব্যের পর কৌশলী সুর উদ্ধব শিবিরের সঞ্জয় রাউতের)
পাকিস্তানের সেনা কোর্ট কী বলছে?
এদিকে, পাকিস্তানে গতবছর ইমরানপন্থী আন্দোলনের ঘটনায় শনিবারই পাকিস্তানের সেনা কোর্ট ২৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এর আগে, ইমরান খান মসনদচ্যুত হওয়ার পর একাধিক অভিযোগে তাঁকে ২০২৩ সালে গ্রেফতার করা হয়। ইমরানের গ্রেফতারিতে কার্যত রাজনৈতিক আগুন জ্বলে ওঠে পাকিস্তানে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান মানুষ। এদিকে, সেই ঘটনার পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ২৫ জনকে দোষী সাব্য়স্ত করেছে পাকিস্তানের সেনা কোর্ট। জানা গিয়েছে, দোষীদের মধ্যে ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে আর ১১ জনকে কম সাজা দেওয়া হয়েছে। কোন অপরাধে প্রত্যেকে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তা স্পষ্ট জানা যায়নি বলে খবর।