সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জয়মাল্য বাগচী। আজ তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। গত ৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছিল। এর এক সপ্তাহ পরেই তাঁকে শীর্ষ আদালতে উন্নীত করা হয়। প্রধান বিচারপতি খান্না ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে রয়েছেন বিচারপতি ভূষণ আর গাভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি বিক্রম নাথ। (আরও পড়ুন: চিনের থেকে নয়া হাঙর শ্রেণির সাবমেরিন পেল পাকিস্তান, ভারত কি চিন্তায় পড়বে?)
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের পর RPG হামলা, বালোচিস্তানে ৯০ জওয়ানকে মারার দাবি BLA-র, পাক সেন বলল…
সুপ্রিম কোর্টে ৩৪ জন বিচারপতি থাকতে পারেন। তবে এর আগে দু'টি পদ খালি ছিল। তবে আজ বিচারপতি বাগচীর নিয়োগের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে আর একটি মাত্র শূন্যপদ রয়ে গিয়েছে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বাগচীর কার্যকাল বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি ২০৩১ সালের মে মাসে প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন। অবশ্য এরপর ২০৩১ সালের ২ অক্টোবরই তাঁর সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবসর নেওয়ার সময় হয়ে যাবে। অর্থাৎ, মাত্র চার মাসের কিছু বেশি সময়ের জন্যেই তিনি প্রধান বিচারপতি থাকতে পারেন। (আরও পড়ুন: ৪০টি চিনা J35A যুদ্ধবিমান হাতে পাবে পাক, হোতানে মোতয়েন J20, জবাবে কী করছে ভারত?)
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে তোপ, তবে পূর্বের প্রতিবেশী নিয়ে মার্কিন পডকাস্টারকে কী বললেন মোদী?
বিচারপতি বাগচী ২০১১ সালের জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বদলি করা হয়, ২০২১ সালের নভেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টে তিনি ফিরে আসেন। হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে ১৩ বছরের মেয়াদে তিনি আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। (আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে যন্তর মন্তরে হবে বিক্ষোভ; 'অগণতান্ত্রিক', বললেন জগদম্বিকা)
আরও পড়ুন: দিল্লিতে তুলসির সঙ্গে বৈঠকে ডোভাল, গোপনে 'ভারত-বিরোধীদের' নিয়ে আলোচনা
২০১৩ সালে বিচারপতি আলতামাস কবীর প্রধান বিচারপতি হিসাবে অবসর নেওয়ার পর থেকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে কোনও বিচারপতিকে দেশের সর্বোচ্চ বিচারিক পদে নিয়োগ করা হয়নি। ২০৩১ সালের ২৫ মে বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের অবসর গ্রহণের পর বিচারপতি বাগচী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং ২০৩১ সালের ২ অক্টোবর অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত এই পদে থাকবেন। বিচারপতি বাগচীর নিয়োগের আগে পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শুধুমাত্র বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে কাজ করছিলেন। বিচারপতি বাগচী হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ হাইকোর্টের বিচারপতিদের সম্মিলিত সর্বভারতীয় সিনিয়রিটির নিরিখে ১১তম স্থানে ছিলেন।