আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। আর প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। একদা কংগ্রেসে ছিলেন অধুনা তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন। ঘাসফুলে এসে তিনি বিধায়কও হয়েছিলেন। আর এখন এই দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে বলে সূত্রের খবর। সুমন কাঞ্জিলাল বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন। এই দুই নেতা একে–অপরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। এবার আবার সামনে এল সুমন এবং সৌরভের মধ্যে বিরোধ। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের আবর্জনার সমস্যা মেটানোর কৃতিত্ব কার? এই নিয়ে প্রবল দড়ি টানাটানি করতে দেখা গেল দুই নেতাকে।
এমন ঘটনাও যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাও করেননি। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় ড্যামেজ কন্ট্রোল তো করতে হবে। আর তাই এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব মেটাতে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব চেষ্টা করলেও তা বিফল গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মতবিরোধ নানা বিষয়ে লেগেই থাকে। দু’দিন আগেই আলিপুরদুয়ার জেলা শহরে এই দুই নেতার কৃতিত্ব নেওয়ার প্রতিযোগিতা দেখা গিয়েছিল। আলিপুরদুয়ার শহরে সুইমিং পুলের কাজের কৃতিত্ব কে নেবেন? এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রতিযোগিতা তুঙ্গে উঠেছিল।
আরও পড়ুন: জগন্নাথদেবকে ডিপি’তে নিয়ে এল ঘাসফুলের নেতারা, কাস্তে–হাতুড়ির সঙ্গে যুক্ত পায়রা
সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে যান সৌরভ চক্রবর্তী। সেখানে আবর্জনার স্তূপ দেখেন তিনি। এই হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুমন কাঞ্জিলাল এবং তিনিই সবটা দেখেন। এই পদে দুই বছর আগে ছিলেন সৌরভ চক্রবর্তী। আর এই হাসপাতালের আবর্জনা দেখে সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘হাসপাতালের আবর্জনা সরাতে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই কাজ করার জন্য নানা জায়গায় আগে চিঠি দিয়েছি। মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক অফিসারদের সঙ্গেও দেখা করেছি। কয়েক বছর আগে এখান থেকে আবর্জনা কোচবিহারে পাঠানো হয়েছিল।’
সৌরভের আগে আবর্জনার স্তূপ পরির্দশন করতে এসেছিলেন সুমন কাঞ্জিলাল। তিনি তখন জানিয়েছিলেন, এই আবর্জনা সরাতে তিনি নানা জায়গায় দরবার করেছেন। সুইমিং পুলের মতো ওই কৃতিত্বের ভাগ নিতে দেখা যায় সৌরভকে। সৌরভ ওই বিতর্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি সুমনও। কিন্তু দুই নেতার সমর্থকরা দুজনের যে এই কাজের অবদান সেটা প্রচার করে চলেছেন। এসবে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব পড়ে কি না সেটাই দেখার। যদিও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার বক্তব্য, ‘দুই নেতাই নিজেদের মতো করে এলাকায় কাজ করছেন। এখানে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। সাংবাদিকরা এই দ্বন্দ্ব করাচ্ছে। এটার কোনও ভিত্তি নেই।’