দিঘায় জগন্নাথ ধাম দর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে দলের অন্দরেই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ। এমনকী বুধবার বিকেলে ওই সাক্ষাতের পর বৃহস্পতিবার সকালে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। আর বেলা গড়াতে না গড়াতে হাত পড়ল দিলীপ ঘোষের অনুমগামীদের হাতে। বিজেপি কর্মীদেরই একাংশের হাতে আক্রান্ত হলেন দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা। ভাঙচুর করার চেষ্টা হল তাদের গাড়ি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ের সামনে ধুন্ধুমার বাঁধে। দলের জেলা সভাপতি গাড়ি করে এসে পৌঁছন দলীয় দফতরের সামনে। আর তার পরই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দলীয় কর্মীদেরই একাংশ। গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করেন তাঁরা। আক্রমণ করেন সেখানে উপস্থিত দিলীপ ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত অন্য কর্মীদের ওপরেও। হামলার মুখে পড়ে কোনও ক্রমে এলাকা ছেড়ে পালান জেলা সভাপতিসহ অন্যান্য আক্রান্তরা।
বিক্ষোভরত এক বিজেপি কর্মী বলেন, দিলীপ ঘোষ কে? দিলীপ ঘোষ ২০১৯ সালে মোদী হাওয়ায় সাফল্য পেয়েছেন। আর সেজন্য বড় বড় কথা বলে বেড়াচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রাজ্যের হিন্দুদের রক্ত লেগে রয়েছে। তাঁর সঙ্গে উনি সাক্ষাৎ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন উনি তৃণমূলের দালাল। আমাদের ওর মতো নেতার দরকার নেই। আমাদের শুভেন্দু অধিকারীর মতো বলিষ্ঠ নেতা দরকার। যিনি চাপের মুখে নতিস্বীকার করেন না। তাই আজ আমরা দিলীপ ঘোষের চামচাদের পার্টি অফিসে ঢুকতে দিইনি। আর দেবও না। আমরা আগে থেকেই জানতাম দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাত রয়েছে। এবার সেটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা শহরের যেখানে যত ওর পোস্টার ব্যানার ছিল সব ছিঁড়ে নর্দমায় ফেলে দিয়েছি।