নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ট প্রোমোটার অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। শান্তনুকে গ্রেফতারের ৫৯ দিনের মাথায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট পেশ করল ইডি। ১১৩ পাতার চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, ২০১২ সালের প্রাথমিক টেট থেকেই দুর্নীতির সূত্রপাত। বলে রাখি, ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল জমানায় প্রথম প্রাথমিক টেট অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালে।চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, ২০১২ ও ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। প্রায় ১০০০ প্রার্থীর কাছ থেকে এই টাকা তুলেছিলেন তিনি। তার মধ্যে ১৮ কোটি টাকা নিজের কাছে রেখেছিলেন। আর বাকি টাকা তিনি দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা শন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে।চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, অয়নের মোট ২৩ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করেছে ইডি। এছাড়া ব্যাঙ্কে তাঁর প্রায় ২ কোটি টাকা নগদ রয়েছে। ৬৪ লক্ষ টাকার গাড়ি ও ২২ লক্ষ শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে তার। অয়নের সম্পত্তির বহর বোঝেতে ইডি জানিয়েছে, হুগলিতে একটি আবাসনে ২০টি ফ্ল্যাট রয়েছে অয়ন শীলের। অয়নের তিন সংস্থা এবিএ এবিএস ইনফোজেন, শুক্লা সার্ভিস স্টেশন ও মেসার্স ফসিলসের নামও রয়েছে চার্জশিটে। চার্জশিয়ে অয়নের স্ত্রী কাকলি, ছেলে অভিষেক ও বান্ধবী শ্বেতাকে সাক্ষী করা হয়েছে।চার্জশিটে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইডি জানিয়েছেন, চাকরি দেওয়ার নামে তোলা টাকায় দীপ ডেভেলপার্স ও ইভানস কন্সট্রাকশন নামে ২ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন তিনি।গত ১০ মার্চ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ২০ মার্চ গ্রেফতার হন অয়ন। শান্তনুর মোবাইল ফোনকে সোনার খনি ও অয়নের দফতরকে তথ্যের খনি বলে উল্লেখ করেছিলেন তদন্তকারীরা। এদিন চার্জশিট পেশের আগে ইডির আইনজীবী বলেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি নিজের পাশাপাশি সমাজকেও পুড়িয়ে শেষ করেন।