মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে স্ত্রী, পুত্রকে গুলি করে খুনের পর ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রযুক্তিবিদের আত্মহত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও কী কারণে তিনি এমন চরম পদক্ষেপ করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানের শিরায় শিরায় সন্ত্রাসবাদ, এবার আরও রক্ত গরম হতে পারে ভারতের)
আরও পড়ুন-বাঙালি লিভ-ইন পার্টনারকে মাথা কেটে খুন, খালে দেহ! ৬ মাস পর গ্রেফতার প্রেমিক
জানা গিয়েছে, ৫৭ বছর বয়সি হর্ষবর্ধন কিক্কেরি বিখ্যাত রোবোটিক্স সংস্থা 'হোলোওয়ার্ল্ডে'র সিইও। তাঁর স্ত্রী শ্বেতা পনিয়ামও সংস্থার যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা। গত ২৪ এপ্রিল রাতে তাঁদের মৃত্যু হয় বলে সূত্রের খবর। ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতির ১৪ বছরের ছেলেও মারা গেছে বলে খবর। তাঁদের সাত বছরের আরও একটি ছেলে রয়েছে। সে বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় বলে খবর। ঘটনার পরে তাকে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাতটায় ৯১১ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দ্রুত ১২৯তম স্ট্রিট এসই-এর ৭০০০ ব্লকে টাউনহাউসে পৌঁছয়। দেখা যায় সামনের দরজা নিচ দিয়ে রক্তের ধারা বেরিয়ে আসছে। রাস্তা থেকে একটি বুলেটও উদ্ধার হয়। ঘটনার নেপথ্যের আসল কারণ খুঁজে দেখছে গোয়েন্দারা।প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, কারও সঙ্গে খুব একটা কথা বলতেন না হর্ষবর্ধন ও তাঁর পরিবার। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এমন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। (আরও পড়ুন: সব পাক নাগরিক দেশ ছাড়লেও তিনি আছেন ভারতেই, পহেলগাঁও হামলায় নাম জড়াল সেই সীমার?)
আরও পড়ুন: 'পহেলগাঁওয়ের অপরাধী, মদতদাতা এবং পরিকল্পনাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে'
হর্ষবর্ধন কিক্কেরি কে?
কর্নাটকের মাণ্ড্য জেলার বাসিন্দা হর্ষবর্ধনের পড়াশোনা মাইসুরুতে। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বাকি পড়াশোনা শেষ করেন। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর করার পর হর্ষবর্ধন মাইক্রোসফটে যোগ দেন। রোবটিক্সে ৪৪টি আন্তর্জাতি পেটেন্ট রয়েছে তাঁর। পেয়েছেন ইনফোসিসের এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডের মতো বহু সম্মান। ২০১৭ সালে ভারতে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে ‘হলোওয়ার্ল্ড’ নামে একটি রোবোটিকস সংস্থা খুলেছিলেন তিনি। অতিমারির কারণে ২০২২ সালে বন্ধ হয় সেই সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান হর্ষবর্ধনেরা। হঠাৎ তাঁর আত্মহত্যার কারণ কী তা বুঝতে পারছেন না গোয়েন্দারা। তবে ঘটনাস্থল ও অন্যান্য দিক খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা আত্মহ্ত্যার সম্ভাবনাকেই বেশি জোরালো কারণ বলে মনে করছেন। তবে এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে মার্কিন পুলিশ।