গোপন সূত্রে খবর আসে বড় অঙ্কের চোরাই সোনা কলকাতায় আসছে। এই খবর যখন আসে তখনই তৎপর হন ডিআরআইয়ের গোয়েন্দারা। শুরু হয় ট্র্যাক করা। সেই ট্র্যাক থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ♊চারজন চোরাই সোনা নিয়ে কলকাতায় আসছে। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করতেই তথ্য উঠে আসে যে, এই সোনার হাতবদল হবে উল্টোডাঙা এলাকায়। তারপর সেখান থেকে যাবে বড়বাজারে। এই তথ্য হাতে নিয়েই কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা সেখানে পৌঁছে যান। আর গোটা দলকে গ্রেফতার করে আড়াই কোটি টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়।
কেমন করে ধরা পড়ল? মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে পাচারকারীদের নাম হাতে আসে অফিসারদের। তখন টাওয়ার লোকেশন 🤡ট্র্যাক করে তাঁরা দেখেন, পাচারকারীরা বিধাননগর স্টেশনে পৌঁছেছে। নজরদারি করার সময় একজনকে কোমর থেকে সাꦚর্জিক্যাল বেল্ট খুলতেও দেখেন তাঁরা। আর তখনই তাকে আটক করে বেল্ট পরীক্ষা করা হয়। ব্যস, বেরিয়ে পড়ে সোনা। অন্য সঙ্গীদের দেহ তল্লাশি করলে উদ্ধার হয় আরও চোরাই সোনা। সব মিলিয়ে ১৬টি সোনার বিস্কুট মিলেছে। যার বাজারদর আড়াই কোটি টাকার বেশি। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। এই সোনা মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশে আসে। তারপর সেখান থেকে চোরাপথে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
কী তথ্য পেয়েছে ডিআরআই? ডিআরআই সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া চারজনই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দা। তারা সোনার চোরা–কারবারের সঙ্গে জড়িত। ধৃতদের জেরা করে উঠে আসে, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের চোরাই সোনার কা🐷রবারিদের যোগ রয়েছে। এই পাচার করা নিয়𒆙ে তাদের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা হতো। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের সীমান্ত লাগোয়া এলাকা দিয়ে এই সোনা বাংলায় নিয়ে আসা হয়। তারপর হাতবদল হয়ে চোরাই সোনা চলে আসে কলকাতায়। এই কাজে ভালো টাকা কমিশন আছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? গ্রেফতার হওয়া চারজনই নদিয়ায় ছোটখাট ব্যবসার আড়ালে সোনার চোরা–কারবার চালাত। সোনার যে বিস্কুটগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলি মঙ্গলবারই বাংলাদেশ থেকে এসেছে। কলকাতার এক গয়না ব্যবসায়ী এই কাজের সঙ্গে জড়িত। বরাত পেয়ে তারা ডেলিভারি করতে ১৬টি বিস্কুট ভাগ করে ট্রেনের আলাদা বগিতে উঠেছিল। কোমরে সার্জিক্যাল বেল্ট বেঁধে সোনা নিয়ে এসেছিল তারা। কোমরের ব্যܫথায় কাতর দেখিয়ে সোনা পাচার করাই ছিল ছক। বিধাননগর রোড স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার পর ওভারব্রিজের উপরে সবাই মিলিত হয়। সেখানে চোরাই সোনার হাতবদলের সময়ই ধরে ফেলা হয় পাচারকারীদের।