সারা বিশ্ব বিদায় জানাল পোপ ফ্রান্সিসকে। শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে নজর কেড়েছেন বিশ্বনেতারাও। ২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে ভ্যাটিকানে নিজের বাড়িতে মারা যান পোপ ফ্রান্সি। এদিন তাঁর শেষকৃত্যে তাঁর ভাগ্নে মাউরো বেরগোগলিও তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে যে মহান পোপের পরিবারে আর কে কে রয়েছেন! পরিবারের চোখে আদতে কে ছিলেন পোপ ফ্রান্সিস!
পোপ ফ্রান্সিসের পরিবারের পরিচয়
বিশ্বের কাছে 'পোপ' হলেও পরিবারের কাছে শুধুই 'জর্জ' ছিলেন পোপ ফ্রান্সিস! পরিবারের সদস্যরা তাঁকে তাঁর আসল নাম জর্জ বলেই ডাকতেন। পোপ ফ্রান্সিসের পুরো নাম জর্জ মারিও বেরগোগলিও, পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনিই সবার বড় ছিলেন। পোপের বাবা-মা ছিলেন ইতালির বাসিন্দা। পোপ ফ্রান্সিসের ৭৭ বছর বয়সী বোন মারিয়া এলেনা বেরগোগলিও, জীবিত। শেষবারের মতো তিনি তাকে দেখেছিলেন ২০১৩ সালের মার্চ মাসে, রোমে গিয়ে পোপ হওয়ার ঠিক আগের সময়ে। যদিও, আর্থিক কারণে পোপ ফ্রান্সিসের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি মারিয়া।
ক্রিস্টিনা বার্গোগলিও হলেন পোপের ভাগ্নী। তিনি স্পেনের মাদ্রিদে থাকেন এবং একজন বিখ্যাত শিল্পী। তিনি গির্জার নীতি অনুসরণ করেন না এবং একবার এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানান যে তিনি ধার্মিক নন এবং গির্জার ধারণাও পুরাতন বলে মনে করেন তিনি। তাঁর ভাই, জোসে, পোপের শেষকৃত্যে রোমে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেছিলেন যে পোপ ফ্রান্সিস সবকিছু সহজ রাখতে পছন্দ করতেন এবং অন্যদের সাহায্য করার বিষয়ে যত্নবান ছিলেন তিনি। জোসে এবং তাঁর মা, মারিয়া এলেনা, পোপের এই ব্যক্তিত্বকে সম্মান করতে চেয়েছিলেন।
পোপের আরও এক ভাগ্নে, মাউরো বার্গোগলিও, রোমে এসেছিলেন। তিনি পোপের ভাই অস্কারের ছেলে। প্রথমে, মাউরো বলেছিলেন যে তিনি রোমে আসার বহন করতে পারবেন না। কিন্তু রিতা ম্যাটিয়েলো নামে একজন দয়ালু ট্র্যাভেল এজেন্সির মালিক খবরের মাধ্যমে তাঁর বিষয়টি জানতে পারেন এবং তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে শেষকৃত্যে আসার সুযোগ করে দেন।
কার্লা রাবেজানা হলেন পোপের কাজিন। তাঁর বয়স ৯৩ বছর এবং তিনি ইতালির পোর্টাকোমারোতে থাকেন। পোপের নাতনি ক্যারোলিনা বার্গোগলিও ফেসবুকে পোপের উদ্দেশ্যে একটি মিষ্টি বার্তা লেখেন। তিনি বলেছিলেন যে পোপ ছিলে একজন নম্র এবং দয়ালু ব্যক্তিত্ব, যিনি সারা বিশ্বের মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছেন।
আর্জেন্টিনার একটি সংবাদ সূত্রের খবর অনুযায়ী, পোপের প্রপৌত্র ফেলিপ বার্গোগলিও। তার বয়স ২১ বছর এবং তিনি ১৯১৯ সালে ইতালির ক্যাস্টিগ্লিওনেন্স নামক একটি দলের হয়ে ফুটবল খেলেন। ফেলিপে কখনও পোপ ফ্রান্সিসের সাথে দেখা করেননি, তবে তাঁর বড় ভাই মাতেও এবং বেঞ্জামিন তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন।