১৯৭১ সালের তৎকালীন বাংলাদেশে ২৫ মার্চের রাতে পাকিস্তান সেনার ভয়াবহ হামলার দিনটি গোটা বাংলাদেশে ‘কালরাত’ নামে পালিত হয়। ১৯৭১র সেই দিনে পাকিস্তান🉐ি সেনা সমরাস্ত্র নিয়ে যেভাবে নিরস্ত্র মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়ে ভয়াবহ গণহত্যায় ঢাকাকে রক্তাক্ত করেছিল, তার ক্ষত আজও বুকে নিয়ে চলেন সেরাতে শহিদ হওয়া বহু মানুষের পরিবার। এমন এক শোকের ইতিহাসের পর্ব স্মরণ করে এদিন এক বার্তা দেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।
তাঁর বার্𝐆তায় 𓃲মহম্মদ ইউনুস তাঁর বার্তায় বলেন,' সেদিন মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা “অপারেশন সার্চলাইট" পরিচালনা করে ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায়।' এরইসঙ্গে তিনি বলেন,'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা, রাজারবাগসহ সারা দেশে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় শহীদ হন ছাত্র-শিক্ষক, পুলিশ ও সেনাসদস্যসহ হাজারো নিরপরাধ মানুষ। তাঁদের আত্মদানের পথ ধরেই দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।'
( Bangladesh advisor to v♏isit China: জিনপিংয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন ইউনুস! আলোচনার টেবিলে কী কী রাখতে পারে কৌশলী বেজিং?)
( Bangladesh 𝄹Kaalraat: আজ রাতে ১ মিনিট ব্ল্যাকআউট থাকবে বাংলাদেশ! স্মরণে ভয়াবহ ‘কালরাত’, কী ঘটেছিল ২৫ 𒀰মার্চ ১৯৭১-এ?)
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। ১৯৭১ সালের পর সদ্য ইউনুস আমলে পাকিস্তান-বাংলাদেশের কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতা বেশ নজর কেড়েছে। সদ্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি সেনাকর্তাদের বৈঠকও কেড়েছে নজর। মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, বছরের শুরুতে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামর-উল-হাসানের বৈঠক হয় বলেও খবর। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করে, বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের আইএসআই একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলও ঢাকায় পাঠিয়েছে গোপনে। এই পরিস্থিতিতে সেই পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও সদ্য বেশ ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছে। যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এককালে মুক্তিযুদ্ধ চালিয়েছে ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚবাংলাদেশ। এমন এক প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের গণহত্যার দিনের অভিশপ্ত পর্ব স্মরণ করে ১৯৭১র পাকিস্তানের সেনাকে নিয়ে এল বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বার্তা। বক্তব্যের শেষে মহম্মদ ইউনুস বলেন,' নতুন বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে, গণহত্যা দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।'