জীবনে প্রথম গুরু বলা হয় বাবা–মাকে। আর দ্বিতীয় গুরু বলা হয় শিক্ষককে। কিন্তু সেই শিক্ষকই যদি ছাত্রদের কুশিক্ষা দেয় তাহলে সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে 🌼পড়ে। শিক্ষক–শিক্ষিকারা সবসময় জীবনে চলার পথে কোনটা করা উচিত আর কোনটা করা উচিত নয় এই শিক্ষা দেন। সেখানে দেখা গেল, একজন শিক্ষক ছাত্রদের গ্লাসে মদ ঢেলে দিচ্ছে। আর তা পান করছে ছাত্ররা। সেট🌜া স্কুলের মধ্যেই। সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই দাবি করেছে। মধ্যপ্রদেশের সরকারি স্কুলের শিক্ষক এমন ঘটনা ঘটিয়ে সাসপেন্ড হয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদসংস্থা।
আজ, শনিবার মধ্যপ্রদেশের কাটনি জেলার সরকারি স্কুল শিক্ষকের এমন কাণ্ড সামনে আসায় ব্যা♌পক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই শিক্ষকের নাম লাল নবীন প্রতাপ সিং। এই ঘটনা ঘটিয়ে শিক্ষকের পেশাকে কলঙ্কিত করেছে বলে🐽 অনেকে দাবি। আর সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিশুপড়ুয়াদের মদ্যপান করা শিখিয়েছেন তিনি বলে অভিযোগ। তাই তো বারওয়ারা ব্লকের অন্তর্গত খিরহানি গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে এখন ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। কিন্তু ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়ো’তে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত শিক্ষক লাল নবীন প্রতাপ সিং একটা ঘরে পড়ুয়াদের কাপে করে মদ দিচ্ছেন। আর জল মিশিয়ে খেতে বলছেন।
এই ছোট ছোট পড়ুয়াদের জীবনের শুরুতেই যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে কেমন করে তারা যোগ্য মানুষ হবে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। এই ভিডিয়ো দেখে এবং তা সংগ্রহ করেন জেলা কালেক্টর দিলীপ কুমার যাদব। তারপর জেলা শিক্ষা আধিকারিক ওপি সিংকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। এই আচরণের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষক লাল নবীন প্রতাপ সিংকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। এখন মধ্যপ্রদেশে এই ঘটনাই পাড়ার মোড় থেকে শুরু করে চায়ের ෴দোকান—সর্বত্🐲র আলোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দিলীপ–রিঙ্কুর বিয়ের স্পেশাল মিষ্টি এখন চাহিদা দেদার, বাদুড়িয়ার দোকানে ভিড়ে ঠাসাঠাসি
তাছাড়া এই শিক্ষকের ঘটনা সামনে আসার আগে আরও একটি ঘটনা সামনে আসে। একদিন আগে উত্তরপ্রদেশের জালাউন এলাকায় একজন চিকিৎসক একটি ছোট ছেলেকে শেখাচ্ছেন কেমন করে সিগারেট খেতে হয় ঠাণ্ডায়। এই ব্যক্তি একজন সরকারি চিকিৎসক। ওই চিকিৎসকের নাম সুরেশ চন্দ্র। যিনি একটি ৫ বছরের ছেলের মুখে সিগারেট দিয়ে দেন এব🌃ং টানতে বলেন। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই সরকারি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়েছে। যদিও ওই চিকিৎসক এমন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।