অঙ্গ💧নওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়ি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরেই তাতে পাওয়া গেল টিকটিকির পা এবং লেজ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। খিচুড়িতে টিকটিকি পাওয়ার খবর শুনেই একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রায় ৪০ জন শিশু। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে ভর্তি 🦄করা হয় হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের পুনিশোল অঞ্চলের উপরডাঙা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসন খিচুড়ির নমুনা সংগ্রহ করে খাদ্য সুরক্ষা বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে সিদ্ধ টিকটিকি, খেয়ে অসু꧙স্থ ৩০ জন, তদন্তের নির্দেশ
ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেহেরবানু বিবಌি জানান, এদিন সকালে প্রথমে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বাড়িতে খিচুড়ি নিয়ে যান একজন গ্রাহক। তিনিই প্রথম খিচুড়িতে টিকটিকির দেহাংশ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনার প্রতিবাদে অভিভাবকরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রথমে ১০ জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বাকিদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সকলকে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন খিচুড়🧸িতে টিকটিকি পাওয়ার বিষয়টি মানতে অস্বীকার করেছে। প্রশাসন ঘটনাটিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) তথা আইসিডিএসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অরিন্দম বিশ্বাস জানান, খিচুড়িতে টিকটিকি পাওয়ার বিষয়টি গুজব। টিকটিকি পাওয়ার দাবি করা হলেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যে 𝓰খিচুড়িতে টিকটিকি পাওয়া গিয়েছে সেই প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি।
তাঁর দাবি, কেউ টিকটিকি পাওয়ার বিষয়টি রটিয়েছে। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনেক শিশু বমি করতে শুরু করে। কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে মা ও শিশু মিলিয়ে মোট ৪১জনকে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তবে কারও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়নি বলেই জানান অতিরিক্ত জেলাশাসক। তিনি জানান, সকলেই সুস্থ আছে। অতিরিক্ত জেলা শাসকের আরও দাবি, গত সাড়ে তিন বছরে খিচুড়িতে টিকটিকি পাওয়ার দাবি অনেকেই করেছেন। তবে কোনও ঘটনাতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে টিকটিকি পাওয়া যায়নি। ফলে বাড়িতে গিয়েও টিকট🐼িকি পড়ে থাকতে পারে।