চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে ক্লাসের মধ্যেই বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার থেকেও আজব কথা হল, সংবাদমাধ্যমে যেমনটা দাবি করা হচ্ছে, ওই ছাত্রকে মারধর করার কারণ নাকি শিক্ষকের মোবাইলের রিংটোন! হ্যাঁ! ঠিকই পড়ছেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ক্লাস চলাকালীন ওই শিক্ষকের মোবাইল বেজে ওঠে। সেই সময়েই ক্লাসের এক পড়ুয়া বলে, স্য়ারের মোবাইলের রিংটোন তার ভালো লাগেনি। আর, সেই মন্তব্য শুনেই নাকি বেজায় ক্ষেপে যান বাংলা বিভাগের ওই শিক্ষক।
অভিযোগ, প্রথমে ওই ছাত্রের শার্টের কলার টেনে ধরে তাকে কিল, চড়, থাপ্পড় মারেন ওই শিক্ষক। তারপর তার পেটে ঘুসিও মারেন তিনি! এতে ছেলেটি অসুস্থ পড়ে। আজ (বৃহস্পতিবার - ১৫ মে, ২০২৫) এই ঘটনা ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের একটি বেসরকারি স্কুলে।
জানা গিয়েছে, ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর স্কুলের পক্ষ থেকে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। তাঁরা এসে ওই বালককে স্থানীয় বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানেই ভর্তি করা হয় তাকে।
গোটা ঘটনায় ছাত্রের পরিবারের লোকজন যেমন ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তেমন তাঁরা অবাকও হয়েছেন। এমন তুচ্ছ কারণে কোনও শিক্ষক ছাত্রের সঙ্গে যে এমন আচরণ করতে পারেন, সেটাই যেন বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁদের!
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্য়েই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন 'প্রহৃত' ছাত্রের অভিভাবকরা। একই মর্মে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে, অভিযুক্ত শিক্ষকের এ নিয়ে কী বক্তব্য, সেটা এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি।