স্কুল কলেজে পড়ার সময় টুকটাক ছুটি তো লেগেই থাকে। কিন্তু পড়ুয়ারা সব থেকে বেশি যে লম্বা ছুটিগুলোর জন্য অপেক্ষা করে তার মধ্যে অন্যতম হল গরমের ছুটি। ক্যালেন্ডারের দিকে চোখ রাখলেই দেখা যাবে স্কুলে স্কুলে ইতিমধ্যেই পড়ে গিয়েছে গরমের ছুটি। খুদেরা কেউ গল্পের বইয়ের পাতায় পাতায় রূপকথার দেশে পাড়ি দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ বাবা-মায়ের হাত ধরে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছে। কিন্তু সেলেবরা? তাঁদের তো আর গরমের ছুটি নেই, উল্টে রয়েছে শ্যুটিংয়ের চাপ। তার মাঝে কি কখনও গরমের ছুটির সেই দিনগুলোতে মনে ছুটে চলে যায়? সেই কথাই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানালেন দেবাদৃতা বসু।
বর্তমানে মেগার কাজে প্রবল ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন নায়িকা। মেগার ১৪ ঘণ্টার শিডিউল, দিনের সিংভাগটা শ্যুটিং ফ্লোরেই কেটে যায়। তার উপর 'মিঠিঝোরা'র নীলু মানে নীলাঞ্জনা এখন বাড়ি ছেড়ে অনেক দূরে। তাই পর্দার 'নীඣলাঞ্জনা' দেবাদৃতাও এখন বেশির ভাগ শ্যুটিংই সারছেন আউটডোরে। তবে শুধু শ্যুটিং নয়, পাশাপাশি শরীরচর্চা থেকে ভ্লগ বানানো সবটাই তাঁকে সামলাতে হচ্ছে। প্রতিটা দিনই কাটছে কর্ম ব🐷্যস্ততায়।
কিন্তু এই ব্যস্ততার মাঝে কি ছোটবেলার সেই গরমের ছুটির অফুরান আনন্দের দিনগুলোকে মিস করেন নায়িকা? প্রশ্নে দেবাদৃতা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, 'হ্যাঁ, অবশ্যই ওই গরমের ছুটির দিনগুলোকে খুব মিস ক♕রি। আসলে ছোটবেলায় গরমের ছুটির অপেক্ষায় বসে থাকতাম। কেবলই মনে হত, কবে ছুটি পড়বে? কী ভাবে ছুটি কাটাবো, কীভাবে ওই সময় পরিবারের সঙ্গে আরও মজা করে কাটাবো? কিন্তু বড় হলে যা হয়, শুধু তো গরমের ছুটি নয়, এখন কর্মব্যস্ততার জন্য পরিবারের সকলের সঙ্গেও একটানা অনেকটা সময় কাটানো হয় না। সেটাকেও খুব মিস করি। কিন্তু একটা চেষ্টা অবশ্যই থাকে, যাতে পরিবারের সকলে মিলে সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পারি।'
দেবাদৃতা আসলে ছোটবেলা থেকেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন। এখনও যেমন ছুটি পেলেই তাঁর ফ্যামিলির সঙ্গে থাকেন, স্কুলে পড়াকালীনও গরমের ছুটি পেলে একই ভাবে পরিব𝓰ারের সঙ্গেই সময় কাটাত নায়িকার। মায়ের সঙ্গে ঘরের টুকিটাকি কাজও করে দিতেন। তবে শুধুই মা, বোন আর বাবা নয়। গরমের ছুটির দিনগুলোতে পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গেও খেলতে অভিনেত্রী। কিন্তু এত কিছুর মাঝে পড়াশোনাতেও মোটেই ফাঁকি দিতেন না, সেটাও করতেন যথা সময়।
দেবাদৃতার কথায়, 'গরমের ছুটির দিনগুলোতে সকালে উঠে আগে পড়াশোনা করে নিতাম। তারপর সারাটা দিন বাড়িতেই। মায়ের সঙ্গে সঙ্গে থাকতাম। মা হয়তো কিছু করছেন, আমিও সেখানে মায়ের হাতে হাতে একটু সাহায্য করে দিতাম। তারপর আমার পাড়ার কিছু বন্ধুবান্ধব ছিল তাঁদের সঙ্গে খেলতাম। তবে যেহেত🌳ু প্রচন্ড গরম থাকতো, তাই রোদের মধ্যে আমরা বাইরে খেলতাম না। আজ হয়তো আমার বাড়ি, কাল আর একটা বন্ধু বাড়িতে বসত আমাদের খেলার আসর।' কিন্তু কেবল খেলাধুলো নয়, আম-মাখা থেকে আচার সব কিছুর স্বাদ নিয়েই ভরে থাকত দেবাদৃতার গরমের ছুটি।
আর ঘুরতে যাওয়া? গরমের ছুটিতে তো অনেকেই ঘুরতে যায়, দেবাদৃতাও কি বাবা-ময়ের সঙ্গে গরমের ছুটিতে কোথাও ঘুরতে যেতেন? প্রশ্নে নায়িকা বলেন, 'হ্যাঁ,♊ ছুটি পড়লে অনেক সময় ঘুরতেও গিয়েছি। তবে আমার বাবা তো ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকতেন। ছোটবেলা থেকেই সেটা দেখতাম। তাই বাবা খুব একটা সময় পেতেন না। কিন্তু আমরা চেষ্টা করতাম তার মধ্যেও বেরিয়ে পড়্রার। এখনও আমরা ছুটি পেলে, পরিবারের সকলে মিলে ঘুরতে যাই। তাই আলাদা করে গরমের ছুটিতেই ঘুরতে যেতে হবে তেমন বিষয় ছিল না।'
তবে এখন তো আর এমন গরমের ছুটি পান না নায়িকা। তার উপর আবার আউটডোরই এখন বেশি হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতি আর অভিনয় দুই ভালোবাসেন দেবাদৃতা, তাই আনন্দের সঙ্গেই করছেন কাজ। পাশাপাশি নিজের যত্ন নিতেও ভুলছেন না নায়িকা। সানস্ক্রিন মাখা থেকে ডাবের জল আর তেল মশলা ছাড়া হালকা খাবার খেয়েই নিজেকে ফিট রাখছেন। পাশাপাশি প্রচন্ড গরমের জন্য শরীরচর্চা করতে ভালো না লাগলেও, নিজেকে ফিট রাখার জন্য নিয়ম মে💃নেই করছেন জিম।