গন্তব্য ছিল ম্যাঙ্গালোর পোর্ট। তবে আরব সাগর দিয়ে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছিজাহাজটি। সেই এমভি কেম প্লুটো-কে বড়দিনে নিয়ে আসা হয়েছিল মুম্বই বন্দরে। জাহাজে যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে ফরেন্সিক তদন্ত চালায় ভারতীয় নৌসেনা। এই আবহে প্রাথমিক অনুমান, এই হামলার সাথে ইরানের যোগ আছে। কারণ সেই জাহাজে বিস্ফোরণ ঘঠেছে ইরানের বিস্ফোরকেই। জানা গিয়েছে, নৌসেনার তরফ থেকে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল জাহাজের মিসাইল বিধ্বস্ত অংশের কিছুটা। সেখানেই পরীক্ষা করে দেখা যায়, ইরানের 'শাহেদ ১৩৬' মিসাইলের জেরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। (আরও পড়ুন: পরপর হামলার জের, সাগরে ব্রহ্মোস মিসাইল বহনকারী ৪টি রণতরী মোতায়েন করল নৌসেনা)
আরও পড়ুন: বাস্তবের 'ডাঙ্কি'! ছিলেন ৩০৩, ফ্রান্স থেকে ফিরলেন ২৭৬, এবার বাকিদের কী হবে?
বিগত দিনে পরপর হামলা চলেছে ভারতগামী একাধিক জাহাজে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছে আমেরিকা। যদিও আমেরিকার সেই দাবি নাকচ করেছিল ইরান। পেন্টাগনের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিককালে ইয়েমেনের হুথিরা ১০০টিরও বেশি ড্রোন উড়িয়ে ১০টি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আবহে ইজরায়েল যোগ থাকা জাহাজের ওপরে এই হামলা চালানো হচ্ছে। এই আবহে ইরানের মন্ত্রী আলি বাঘেরি বলেন, 'হুথিদের নিজেদের অস্ত্র রয়েছে। তারা নিজেদের ইচ্ছেতেই যা করার করে। সেই ক্ষমতা তাদের রয়েছে। আমেরিকা ও ইজরায়েলের মতো শক্তি এই হামলার শিকার হচ্ছে। তাই এই অঞ্চলে হুথিদের শক্তির বিষয়ে তারা যেন প্রশ্ন না তোলে।'
আরও পড়ুন: আরও দ্রুত ছুটবে বন্দে ভারত, দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পে ৭ লাখ কোটি খরচ করবে রেল