খাস কলকাতার মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে ঢুকে এক বধূকে হাতুড়ি দিয়ে হামলা করল আর এক মহিলা বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এখানে হাসপাতালে যিনি ভর্তি ছিলেন তিনি গৃহবধূ। আর যিনি হামলা করলেন তিনি আক্রান্ত গৃহবধূর স্বামীর প্রেমিকা। এই তথ্য জানাজানি হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তার জেরে রক্তাক্ত অবস্থায় বধূকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এখন ওই বধূ স্থিতিশীল রয়েছেন বলে খবর। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করলেন আক্রান্ত গৃহবধূ।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশ করে এমন ঘটনা যে ঘটানো যায় সেটা না ঘটলে তা বোঝাই যেত না। এই মারাত্মক ঘটনায় রীতিমতো সকলে হতচকিত। ওই গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর প্রেমিকার বিরুদ্ধে! আসলে ওই বধূ গোটা ঘটনা জানতে পেরে গিয়েছিলেন। তাই স্বামীর প্রেমিকা বধূকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। সেই উদ্দেশেই এই হামলা। আর তাতে তাঁর স্বামীও জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত বধূ। ভবিষ্যতেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই বধূ। এই ঘটনার পর নিজের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন ওই বধূ।
আরও পড়ুন: ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভুল স্বীকার করুক নির্বাচন কমিশন’, নয়াদিল্লিতে চাপ বাড়াল তৃণমূল
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই বধূর নাম প্রিয়াঙ্কা বৈদ্য। অভিযোগ, স্বামীর প্রেমিকা যিনি ওই বধূর উপর হামলা করেছেন তিনি নিজেও বিবাহিত এবং তাঁর সন্তান রয়েছে। অথচ তাঁর সঙ্গেই বধূর স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। স্বামী ও ওই প্রেমিকার সম্পর্কের একাধিক প্রমাণও রয়েছে বধূ প্রিয়াঙ্কার কাছে। প্রিয়াঙ্কা আজ এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি দুজনকে একসঙ্গে ধরেছিলাম। আজ সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দু’জনের সঙ্গে শুধু কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়নি। আর আমি যখন স্বামীর প্রেমিকাকে বাইরে ডেকে কথা বলতে চাইলাম তখন সে আমাকে গালিগালাজ করে এবং হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে।’